অবশেষে মুখ খুললেন কর্মকার পরিবারের দুই বধূ। কেনো জড়িয়েছিলেন পরকীয়ায় ? কেনো পালিয়েছিলেন রাজমিস্ত্রীর সাথে ? - পুলিশকে জানালেন তারা।
গত ১৫ ই ডিসেম্বর। হাড় কাঁপানো ঠান্ডা। শীতের পোশাক কিনতে যাবেন বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন বালির নিশ্চিন্দার বাসিন্দা কর্মকার পরিবারের দুই গৃহবধূ অনন্যা কর্মকার, তার জা রিয়া কর্মকার এবং রিয়ার সাত বছরের ছেলে আয়ুষ। কিন্তু, তারপর থেকেই নিখোঁজ তারা। পরিবারের সদস্যরা বাধ্য হয়ে পুলিশের শরণাপন্ন হন এবং খোঁজ শুরু করেন নিশ্চিন্দা থানার পুলিশ। অবশেষে পুলিশের সাহায্যার্থে গত বুধবার (২২.১২.২০২১) আসানসোল স্টেশন থেকে দুই বউকে ফিরিয়ে আনা হয়।
পুলিশের জেরার মুখে সত্য স্বীকার করতে বাধ্য হয় অনন্যা ও রিয়া। জানা গিয়েছে, অনন্যার সাথে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় রাজমিস্ত্রি শেখর রায়ের। অন্যদিকে, রিয়া সম্পর্কে জড়ান রাজমিস্ত্রি শুভজিত দাসের সঙ্গে। কিন্তু, কেনো এই পরকীয়া ? পুলিশের কাছে মুখ খোলেন কর্মকার পরিবারের দুই বউ।
রিয়া জানিয়েছেন, ১০ বছর আগে বিয়ে হয় তার। একটি ৭ বছরের ছেলেও আছে। কিন্তু, স্বামী একেবারেই সময় দেননা তাদের। সংসারিক জীবনে বিরক্ত হয়ে উঠেছিলেন তিনি। অন্যদিকে, অনন্যার বক্তব্য, ৮ বছর বিয়ে হয়েছে তার। কিন্তু, এখনও সন্তান হয়নি তাদের। স্বামী উদাসীন হওয়ায় একাকীত্ব গ্রাস করেছিল তাকে। তাই, দুজনেই একঘেঁয়ে জীবন থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্যই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।
দুই রাজমিস্ত্রি শুভজিত এবং শেখর দুজনেই খুব মিশুকে স্বভাবের। সকলের সাথে খুব সহজেই মিশতে পারতেন তারা। মিষ্টভাষী এই স্বভাবের জন্যই তাদের প্রেমে পড়েন অনন্যা এবং রিয়া - এমনটাই জানিয়েছেন পুলিশকে। ক্রমশ তাদের আলাপ পরিচিতি গাঢ় হয় এবং প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এরপরই বাড়ি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন ওই দুই গৃহবধূ।
এই ঘটনা সামনে আসতেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে নেটজনতাদের কাছ থেকে। হামেশাই এরকম খবর শিরোনামে উঠে আসছে। "তাহলে কি আইনী স্বীকৃতি পাওয়ার পর থেকেই পরকীয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে" ? - প্রশ্ন তুলেছেন নেটিজেনদের একাংশ।
Post a Comment